Friend Philosopher and Guide

(Inclusive Education Research Centre)

-Let’s Pursuit Knowledge & Wisdom

Md. Mahabbat Hossain Chowdhury

তিনি একজন জীবন যুদ্ধের সাহসী সৈনিক। খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে, জীবনের খুব কঠিন এবং সত্য পরিস্থিতির মধ্যে নিজের এবং ভাই—বোনদের পড়াশোনার পাশাপাশি আজ অবধি নিজেকে এবং তার পরিবারকে সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর আজ তাই তিনি তার নিজ জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তাকে অনুধাবন করে শিক্ষা এবং গবেষনা বিষয়ক এই প্রতিষ্ঠান ‘FPG’ সৃষ্টি করেছেন। তার ভাষায় ‘Knowing the Truth is a Journey, Holding the Truth is the Capacity. Let’s Build Our Capacity both externally and Internally simultaneously 

তিনি একজন ‘FPG’। তার ভাষায় ‘F=Friend: Whatever is the Situation, I am with you, P=Philosopher: Listen to your Heart, not the Brain, all the time, G=Guide: Think Twice before having your final decision.’ তিনি তার শিক্ষা ও কর্মজীবনের শুরু থেকে নিজেকে প্রতিনিয়ত নিজের এবং অন্যের জন্য বন্ধুরূপে, জীবন দর্শন এবং সঠিক নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে নিজের সঠিক পথ তৈরির পাশাপাশি অন্যান্যদের জন্য পথ তৈরিতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিয়োজিত রেখেছেন। এ বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি হলো : ‘Create a genuine path for me as well as for others. Let’s walk together on our ‘road-to-life and see the next.’
তিনি তার প্রথম কর্মজীবন শুরু করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ব্যংক ‘আরব বাংলাদেশ ব্যংক প্রাইভেট লিমিটেড’ এর ৫ম ব্যাচ এর একজন ‘Probationary Officer’ হিসেবে। পারতীর্তে তিনি ANZ Grin Lays Bank Limited, Standard Chartered Bank Limited, Eastern Bank Limited – এর মত বিভিন্ন ব্যংকে প্রায় ১৭ বছর তার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে শেয়ার করেছেন। কর্মজীবনের ধারাবাহিকতায় তিনি বেশকিছু ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন। তার এইসমস্ত বিষয়ের শিক্ষা, দক্ষতা, এবং অভিজ্ঞতা তাকে ‘প্রজেক্ট তৈরি, বিভিন্ন ধরণের ব্যবসার শুরু, টিম বিল্ডিং, একাউন্টস এবং ফাইন্যন্স, হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপনা এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের মত কাজে বিশেষজ্ঞ হিসেবে তৈরিতে সাহায্য করেছে। তার মতে ব্যক্তির জন্য অবশ্য পালনীয় নীতিগুলো হলো: ‘Must Avoid Lie, Always Remain at Present, One at a time.’

প্রত্যেক ব্যক্তি সার্বিক উন্নয়নে তিনি বিশেষভাবে মনোযোগী। আর তাই তিনি শিক্ষা প্রক্রিয়ার দ্বারা তার নিজের ও অন্যান্য ব্যক্তির জ্ঞান, দক্ষতা , দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ এর প্রতিনিয়ত উন্নতিকরণের পাশাপাশি ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা ও পরিচালনা করার জন্য শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধিকরণের প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত আছেন । মানুষের স্বাধীনতা ও সুযোগ বাড়ানোর জন্য এবং তাদের সুস্থতার উন্নতির জন্য — ব্যক্তি আমি কে , ব্যক্তি আমাকে কী করতে হবে এবং ব্যক্তি আমাকে কীভাবে বাঁচতে হবে — তা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করার জন্য মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তিনি অত্যন্ত আগ্রহী । তিনি তার আইডিয়াকে এভাবে ব্যক্ত করেছেন: ‘Human Being is a biologically designed computer; they can communicate, format and de-format each other without using manmade devices.’

বর্তমানে তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অঙ্গীকার টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার লক্ষ্য ৪ এবং ১৭তে বিশেষ মনোযোগের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাতে একীভূত শিক্ষার বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষায় ‘গুনতগ শিক্ষা’ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী। আর তিনি এ প্রেক্ষিতে আরো বিশ্বাস করেন যে, টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার লক্ষ্য ৪ শিক্ষায় ‘গুনতগ শিক্ষা’ হলো ১৭টি নির্বাচিত লক্ষ্যের মূল চালিকাশক্তি। আর এটি চালনায় সহোযোগীতা করবে টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার লক্ষ্য ১৭ ‘লক্ষ্য অর্জনে অংশীদারিত্ব’। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারদের অংশীদারিত্ব এবং অংশগ্রহণই কেবল পারবে একীভুত শিক্ষার প্রবর্তনের মাধ্যমে একটি একীভূত সমাজ গঠন করতে এবং এ বিষয়ের সকল কর্মের সাথে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। আর তার এই বিশ্বাস আর অঙ্গীকার ‘FPG’র মতো একটি ‘একীভূত শিক্ষা গবেষনা কেন্দ্র’ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে। আর এক্ষেত্রেও তার প্রকাশ হলো: “প্রত্যেক সৃষ্টিকে পারস্পারিক সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে, সমঝোতার ভিত্তিতে, সহযোগীতা আদান—প্রদান করে, সহযাত্রী হিসেবে জীবনের পথ পাড়ি দিতে হবে”।

Scroll to Top